আক্রান্ত মাছের প্রজাতি: রুই, মৃগেল এবং কাতল।
রোগের কারণ:
- মাছের উকুন (Argulus sp.) এর আক্রমণ।
- মাটিতে অতিরিক্ত ক্ষতিকর জৈব পদার্থ জমলে।
- ঘনত্ব বেশি হলে।
- গ্রীষ্মকালে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।
রোগের লক্ষণ:
- পাখনা এবং আইশের উপরে উকুন দেখা যায়।
- রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে মাছের সারা দেহে উকুন ছড়িয়ে পড়ে। মাছের দেহের রস শোষন করে মাছকে ক্ষতবিক্ষত ও দুর্বল করে তোলে।
- শক্ত কিছু পেলে গা ঘষে। ক্রমান্বয়ে দেহ ক্ষীণ ও দুর্বল হয়ে মাছ মারা যায়।
- মাছ স্বাভাবিক খাবার বন্ধ করে পানির উপরিভাগের সামান্য নিচে দলবদ্ধভাবে অস্থিরতার সাথে চলাফেরা করে।
প্রতিরোধ ও প্রতিকার:
- মাছ ছাড়ার পূর্বে পুকুরে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে এবং পুকুরের তলার অতিরিক্ত কাদা তুলে ফেলতে হবে
- সঠিক ঘনত্বেব মাছ মজুদ করতে হবে
- সুস্থ সবল পোনা মজুদ করতে হবে
- মজুদের পূর্বে মাছের পোনাকে শতকরা ১ ভাগ লবণ মিশ্রিত পানিতে ২০-২৫ মিনিট গোসল করালে রোগ সংক্ষমণের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়
- সুমিথিয়ন ২-৩ মিলি/শতক/ফুট গভীরতা (৫-৭ দিন পর পর ৩ বার)।
- ফেনিট্রিন ২-৩ মিলি/শতক/ফুট গভীরতা (৫-৭ দিন পর পর ৩ বার)।
- ডিপটারেক্স ৬ গ্রাম/শতক/ফুট গভীরতা (৫-৭ দিন পর পর ৩ বার)।
- ডাইলক্স ০.২৫ থেকে ০.৫ পিপিএম পুকুরে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
- আক্রান্ত ব্রুড মাছের ক্ষেত্রে ৩% লবন পানিতে মাছকে গোসল করানো যেতে পারে।
Leave a Reply