• Home
মৎস্যচাষি স্কুল
মৎস্যচাষি স্কুল
  • Home
  • Follow
    • Facebook
Home
মাছচাষের বিশেষ কৌশল

খাঁচায় মাছচাষ

খাঁচায় মাছ চাষের সুবিধা

  • মুক্ত জলাশয়ের সর্বোত্তম ব্যবহার করে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
  • মাছের বর্জ্য প্রবাহমান পানির সাথে অপসারিত হয় বিধায় পানিকে দূষিত করতে পারে না।
  • খাঁচার মাছের উচ্ছিষ্ট খাদ্য খেয়ে নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজাতির প্রাচুর্য্য বৃদ্ধি পায়।
  • প্রবাহমান থাকায় প্রতিনিয়ত খাঁচার অভ্যন্তরের পানি পরিবর্তন হতে থাকে ফলে পুকুরের চেয়ে অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ করা যায়।
  • পুকুরে চাষকৃত মাছের থেকে মুক্ত জলাশয়ে খাঁচায় চাষকৃত মাছের দৈহিক বৃদ্ধি বেশি এবং সুস্বাদু।

 

খাঁচা স্থাপনের উপযোগী স্থান

  • খাঁচা স্থাপনের জন্য জলাশয় হিসেবে অপেক্ষাকৃত কম স্রোতের ছোট নদী বা বড় নদীর অংশ বিশেষ, বড় ও প্রশস্থ খাল, সেচ প্রকল্পের খাল, প্লাবনভূমির গভীর পানির এলাকা, গভীর বিল ও বাঁওড় এবং কাপ্তাই হ্রদ ইত্যাদি জলাশয়কে নির্বাচন করা যেতে পারে।
  • মূল খাঁচা পানিতে ঝুলন্ত রাখার জন্য নূন্যতম ১০ ফুট গভীরতা থাকা প্রয়োজন।
  • খাঁচার তলদেশ নীচের কাদা থেকে ন্যূনতম ৩ ফুট উপরে থাকা আবশ্যক।
  • স্থানটি লোকালয়ের নিকটে হতে হবে যাতে সহজে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
  • খাঁচা স্থাপনের স্থান থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুন্দর হতে হবে যাতে সহজে উৎপাদিত মাছ বাজারজাত করা যায়।
  • খাঁচা স্থাপনের কারণে যাতে কোনভাবেই নৌ চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে এমন স্থান হতে হবে।
  • সর্বোপরি খাঁচা স্থাপনের জায়গাটি এমন হতে হবে যাতে শিল্প বা কলকারখানার বর্জ্য কিংবা পয়ঃনিষ্কাশন পানি অথবা কৃষিজমি থেকে বন্যা বা বৃষ্টি বিধৌত কীটনাশক প্রভাবিত পানি নদীতে পতিত হয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে খাঁচার মাছ মারা যেতে না পারে।

 

খাঁচা তৈরীর উপকরণ ও ডিজাইন

  • খাঁচার জাল তৈরীর উপকরণ
  • খাঁচার ফ্রেম তৈরীর উপকরণ
  • খাঁচা পরিচালনার জন্য উপকরণ

 

খাঁচার জাল তৈরীর উপকরণ

  • পলিইথিলিন জাল (ঘের জাল): ৬ তার বিশিষ্ট
  • রাসেল নেট (খাদ্য আটকানোর বেড় তৈরীতে)
  • মরক্কো কাছি (২৪ তার বিশিষ্ট) অথবা গ্রীন হেংস চিকন রশি (২৪ তার বিশিষ্ট)
  • গ্রীন হেংস্ চিকন সুতা (মেরামতের জন্য)
  • কভার নেট বা ঢাকনা জাল (পাখি ইত্যাদির উপদ্রব থেকে রার জন্য)
  • খাঁচাকে পানিতে ঝুলন্ত রাখার জন্য প্রতিটি খাঁচার নীচে বাঁধার জন্য ছয়টি করে ইট

 

ফ্রেম তৈরী উপকরণ

  • ১ ইঞ্চি জি.আই. পাইপ (৭০ ফুট প্রতিটি খাঁচার জন্য)
  • ঝালাই করার জন্য ওয়েলডিং রড ও ফাটবার
  • ফ্রেম ভাসমান রাখার জন্য খালি ড্রাম (২০০ লিটারের পি.ভি.সি. ড্রাম, ওজন ৯ কেজি’র উর্ধ্বে)
  • খাঁচা স্থির রাখার জন্য গেরাপি (anchor)
  • গেরাপি বাঁধতে মোটা কাছি (১২ নং গ্রীন হেংস্)
  • ফ্রেমের সাথে বাঁধার জন্য মাঝারী আকারের সোজা বাঁশ (প্রয়োজনীয় সংখ্যক)

 

খাঁচা পরিচালনার জন্য উপকরণ

  • খাদ্য ও অন্যান্য দ্রব্য রাখার জন্য ছোট টিনশেড ঘর
  • খাদ্য প্রদান ও নিয়মিত পরিচর্যার জন্য নৌকা
  • মাছ বাছাই ও স্থানান্তরের জন্য সুবিধা জনক পাত্র (বড় পাতিল কিংবা কাটা ড্রাম)
  • খাদ্য প্রদানের জন্য সুবিধাজনক পাত্র
  • মাছ আহরণের জন্য ঝুঁড়ি
  • মাছ ওজনের জন্য ছোট বড় বিভিন্ন আকারের ব্যালেন্স বা দাড়িপাল্লা

 

জাল তৈরী

  • খাঁচা তৈরির জন্য এমন জাল ব্যবহার করতে হবে যেন কাঁকড়া, গুইসাপ, কচ্ছপ ইত্যদি ক্ষতিকর প্রাণী জালগুলো কাটতে না পারে।
  • খাঁচার জন্য সাধারণতঃ দুই আকারের জাল তৈরি করা হয়, যেমনঃ ২০ ফুট x ১০ ফুট x ৬ ফুট এবং ১০ ফুট x ১০ ফুট x ৬ ফুট। খাঁচা তৈরির জন্য জালগুলো মেস ০.৭৫ ইঞ্চি থেকে ১.৫ ইঞ্চির মধ্যে হওয়া ভাল। এতে সহজে নদীর পরিস্কার পানি প্রতিনিয়ত খাঁচার ভিতরে সঞ্চালিত হতে পারে।
  • জাল তৈরী হয়ে গেলে জালের চার কোণে চারটি বাঁশের খুটি স্থাপন করে তার সাথে জালটি বেঁধে নিতে হবে। ঢাকনা বা কভার জাল কেটে উপরের চারদিকে এমন ভাবে সুতা দ্বারা বেঁধে দিতে হবে যাতে সহজে খোলা যায়।

 

ফ্রেম তৈরি ও স্থাপন

  • খাঁচা গুলোর ফ্রেম তৈরী করতে প্রথমতঃ ১ ইঞ্চি জিআই পাইপ দ্বারা আয়তকার ২০ ফুট x ১০ ফুট ফ্রেম তৈরি করা হয়। আর মাঝে ১০ ফুট আরেকটি পাইপ বসিয়ে ঝালাই করে ফ্রেম তৈরি করা হয়। এতে একটি ফ্রেমে সরাসরি ২০ ফুট x ১০ ফুট আকারের খাঁচা বসানো যায় আবার প্রয়োজনবোধে ১০ ফুট x ১০ ফুট আকারের দু’টি খাঁচাও বসানো যায়।
  • প্রতি দুই ফ্রেমের মাঝে ২-৩টি ড্রাম স্থাপন করে সারিবদ্ধভাবে ফ্রেমগুলো স্থাপন করা হয়। প্রয়োজনীয় সংখ্যক গেরাপী বা নোঙর দিয়ে খাঁচা নদীর নির্দিষ্ট স্থানে শক্তভাবে বসানো হয়। এরপর প্রতিটি ফ্রেমের সাথে পৃথক পৃথক জাল সেট করা হয়।

 

খাঁচায় মাছের মজুদ ঘনত্ব নির্ধারণ

  • পানির স্রোত, জালের ফাঁসের আকার, পানির গভীরতা, প্রত্যাশিত আকারের মাছ উৎপাদন, খাদ্যের গুণগতমান এবং বিনিয়োগ ক্ষমতা ইত্যাদি বিবেচনা করেই মজুদ ঘনত্ব নির্ধরণ করা হয়।
  • প্রতি ঘনমিটারে ৩০ থেকে ৪০টি পর্যন্ত মনোসেক্স তেলাপিয়া পোনা মজুত করা যাবে।
  • মজুদকালে পোনার আকার এমন হতে হবে যাতে জালের মেসের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে।
  • নূন্যতম ২৫-৩০ গ্রাম আকারের পোনা মজুত করতে হবে।
  • খাঁচা স্থাপনের ১০-১২ দিন পর পোনা মজুত করতে হবে।
  • খাঁচায় মাছের মজুদ ঘনত্ব নির্ধারণ

 

মাছের প্রজাতি === মজুদ সংখ্যা

মনোসেক্স তেলাপিয়া—-৬০০-৭০০টি

সরপুঁটি—৬০০-৭০০ টি

পাংগাস————-৪০০-৫০০ টি

কার্পিও—–৩০০-৪০০ টি

গ্রাস কার্প——–৩০০-৪০০ টি

কালি বাউশ———-৩০০-৪০০ টি

শিং—-৪০০-৫০০ টি

মাগুর———-৪০০-৫০০ টি

কৈ—-৪০০-৫০০ টি

খাঁচায় সম্পূরক খাদ্য প্রদান

  • বাণিজ্যিকভাবে খাঁচায় মাছ চাষ পরিচালনার জন্য প্রবাহমান পানিতে ভাসমান খাদ্যের বিকল্প নেই।
  • মাছ খাঁচায় মজুদের পর হতে বাজারজাত করার পূর্ব পর্যন্ত দৈহিক ওজনের বিবেচনায় খাদ্য প্রয়োগের মাত্রা ৮ শতাংশ হতে ২ শতাংশ এর মধ্যে সীমিত রাখতে হবে।
  • স্টার্টার-১ (৮%): <৫০ গ্রাম
  • স্টার্টার-২ (৬%) ৫০-১০০ গ্রাম
  • স্টার্টার-৩ (৪%) ১০০-২০০ গ্রাম
  • গ্রোয়ার (২%) ২০০-৫০০ গ্রাম
  • ভাসমান খাবার ব্যবহার করে দেখা গেছে যে, মজুদ থেকে শুরু করে বাজারজাত পর্যন্ত ৭৫০-১০০০ গ্রাম ওজনের মাছ উৎপাদন করতে সর্বোচ্চ ১.৫ কেজি খাদ্যের প্রয়োজন হয়।

 

খাঁচায় খাদ্য প্রয়োগে বিবেচ্য বিষয়

  • মেঘলা আবহাওয়ায় বা বৃষ্টির দিনে বা নিন্ম চাপের সময় খাঁচায় খাদ্য প্রয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে কিংবা কমিয়ে দিতে হবে।
  • যে কোন কারণে খাঁচার মাছের ওপর পীড়ন (stress) সৃষ্টি হলে খাদ্য প্রয়োগ কমিয়ে দিতে হবে এবং প্রয়োজনে বন্ধ রাখতে হবে। অন্যথায় খাদ্য অপচয় হয়ে পরিবেশ বিনষ্ট করবে।
  • যে সকল জলাশয়ে জোয়ার ভাটার প্রভাব সুস্পষ্ট সেখানে জোয়ার ভাটার অন্তর্বতীকালীন সময়ে যখন পানির উচ্চতা হ্রাস পায় এবং পানি একেবারে স্থির হয়ে যায় তখন খাদ্য প্রয়োগ না করে বরং যখন জোয়ার বা ভাটার মৃদু স্রোত থাকে তখন খাদ্য প্রদান করাই উত্তম।

 

খাঁচায় মাছ বাছাইকরণ

  • সাধারণত প্রত্যাশিত উৎপাদনের জন্য খাঁচায় পোনা মজুদের তিন সপ্তাহ পর প্রথম বার খাঁচার মাছ বাছাই করতে হবে।
  • দিনের তাপমাত্রার দিকে লক্ষ্য রেখে সকাল বেলা কিংবা পড়ন্ত বিকেলে খাঁচার মাছ বাছাই করা উচিত।
  • যখন নদীর পানি বেশি প্রবাহমান থাকে তখন খাঁচার পানি দ্রুত পরিবর্তিত হতে থাকে। এ সময় খাঁচার মাছ বাছাই করা অধিক উপযোগী।
  • বাজারজাত করার পূর্বে প্রয়োজন অনুসারে দুই তিনবার বাছাই করতে হবে।

 

গ্রেডিং বা বাছাইকরণ

  • যদিও খাঁচাতে পোনামজুদের সময় যথাসম্ভব একই আকারের পোনা এক খাঁচায় মজুদ করা হয়।
  • সময় অতিক্রমের সাথে সাথে মাছগুলোর মধ্যে দৈহিক বৃদ্ধি হারের তারতম্য দেখা যায়। ফলে খুব দ্রুত প্রতিটি খাঁচাতে পোনার আকার বিভিন্ন হয়ে যায়।
  • এজন্য নির্দিষ্ট সময় পর পর প্রতিটি খাঁচা থেকে মাছ বাছাই করে বড় ও ছোট মাছ গুলোকে বাছাই করে ভিন্ন ভিন্ন আকারের মাছকে ভিন্ন ভিন্ন খাঁচায় স্থানান্তর করার পদ্ধতিই হলো গ্রেডিং বা বাছাইকরণ।

 

নিয়মিত পরিচর্যা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা

  • নিয়মিত খাবার প্রয়োগ
  • আচরণ পর্যবেক্ষণ
  • জাল পর্যবেক্ষণ
  • মৃত মাছ অপসারণ
  • উচ্ছিষ্ট খাদ্য
  • জলাশয়ে খাঁচার অবস্থান পর্যবেক্ষণ
  • খাঁচার জালের ফাঁস বন্ধ হয়ে যাওয়া
  • নৌ চলাচল
  • নদীর অস্বাভাবিক স্রোত
  • প্রাকৃতিক বিপর্যয়
  • খাঁচার মাছকে নিরাপদ রাখা
  • পাখির উপদ্রব
  • ড্রাম ভাসমান রাখা
  • বাঁশের গুণগতমান লক্ষ্য রাখা
  • পানির গুণগত মান পর্যবেক্ষণ (কচুরিপানার বেষ্টনি)

 

রোগ-বালাই

  • শীতের শুরুতে নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য সম্পদের ন্যায় খাঁচার মাছেও প্রচলিত কিছু রোগ দেখা দিতে পারে।
  • আবার বর্ষার শুরুতে যখন কৃষি জমি বিধৌত কীটনাশকসমৃদ্ধ পানি নদীতে এসে পতিত হয়, তখন খাঁচার মাছের গায়ে লাল দাগ, ছত্রাকজনিত রোগ, ক্ষতরোগ ইত্যাদি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
  • ডাকাতিয়া নদীতে স্থাপিত খাঁচাগুলোতে এখন পর্যন্ত শুধু সামান্য লালদাগ ও কদাচিৎ ছত্রাকজনিত রোগ দেখা দেয়।  এ দুটির যে কোন রোগদেখা দিলে রোগের মাত্রার বিবেচনায় তাৎণিকভাবে নিন্ম বর্ণিত চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়:

 

ফরমালিন ও মিথিলিণ ব্লু দ্রবণে গোসল:

  • সুবিধাজনক বড় পাতিলে কিংবা একটি হাফ ড্রামে ৮০ লিটার পানি নিয়ে তাতে ২০-২৫ মিলিলিটার ফরমালিন মেশাতে হবে
  • এর সাথে ১ গ্রাম মিথিলিন ব্লু যোগ করে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
  • ড্রামের দ্রবনে একটি সুবিধাজনক আকারের জাল সেট করতে হবে।
  • এবার খাঁচা থেকে প্রতিবারে ৪০/৫০ টি করে তেলাপিয়া মাছ নিয়ে ড্রামের পানিতে জালে ছেড়ে দিতে হবে।

 

ফরমালিন ও মিথিলিণ ব্লু দ্রবণে গোসল:

  • ৪০০ থেকে ৫০০ টি মাছকে গোসল করানোর পর ড্রামের পানিতে পূনরায় কিছু পরিমান ফরমালিন (৫ মিলিলিটার) এবং এক চিমটি মিথিলিন ব্লু যোগ করে নিতে হবে।
  • রোগের তীব্রতা বেশি হলে ৫ মিনিট এবং কম হলে ৩ মিনিট গোসল করাতে হবে। এরপর ড্রামের জালটি ধরে মাছগুলোকে নূতন খাঁচায় স্থানান্তরিত করতে হবে।
  • রোগের তীব্রতা বুঝে প্রয়োজনে ৭ দিন পর আবার মাছগুলোকে ফরমালিন ওমিথিলিন ব্লু দ্রবণে গোসল করাতে হবে।

 

এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো:

  • ফরমালিণ দ্রবণে গোসল করানোর দিন থেকেই খাঁচার মাছকে  ভাসমান খাদ্যের সাথে এন্টিবায়োটিক মিশিয়ে ১০ দিন খাওয়াতে হবে।
  • প্রতি ১০০ কেজি খাদ্যের সাথে ১০০ গ্রাম এন্টিবায়োটিক পাউডার মিশাতে হবে।
  • ২৫ কেজির খাদ্যের জন্য এন্টিবায়োটিক পাউডার  ১-১.৫ লিটার পানিতে গুলতে হবে।
  • এন্টিবায়োটিক দ্রবণকে মেঝেতে ছড়ানো খাদ্যের ওপর সমভাবে স্প্রে  করে ৫/৬ ঘন্টা শুকিয়ে নিতে হবে।
  • প্রতিদিনের খাদ্যে প্রতিদিন এন্টিবায়োটিক মিশাতে হবে।

 

অন্যান্য ব্যবস্থাপনা

  • নিরাপদ জায়গায় খাঁচা স্থাপন
  • নৌকা চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখা
  • সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ
  • সমাজের লোকজনের সচেতনতা বৃদ্ধি
  • পানির গভীরতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে খাঁচা স্থানান্তর
  • তেলাপিয়া মাছের রোগ ও প্রতিকার
  • সরকারী জলাশয়ে খাঁচা স্থাপনের পূর্বে যথাযথ কতৃপক্ষের লিখিত অনুমতি নিতে হবে।
  • জলজ আগাছা কিংবা শিল্প এলাকার বর্জ্য নির্গত অঞ্চল হতে নিরাপদ দূরত্বে খাঁচা স্থাপন করতে হবে।
  • যে কোন উৎস থেকেই বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত মাছের সম্পূরক খাদ্য সংগ্রহ করা হোক না কেন তার গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
  • ঝোঁপঝাড় মুক্ত এলাকায় খাঁচা স্থাপন করতে হবে এবং পাখির উপদ্রব থেকে রক্ষার জন্য খাঁচার উপরে ঢাকনা জাল দিয়ে আবরণ দিতে হবে।
  • নদীর ভাসমান আবর্জনা বা কচুরীপানা খাঁচায় আটকে গেলে তা সাথে সাথে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
  • কাঁকড়া, কচ্ছপ ইত্যাদি জলজ প্রাণী যাতে জাল কাটতে না পারে এমন জাল দ্বারা খাঁচা তৈরী করতে হবে।
  • রাতের বেলায় খাঁচার স্থাপনায় বৈদ্যুতিক বাতি/ভাসমান বয়াতে বাতি দিয়ে আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।

*** বিস্তারিত জানার জন্য আপনার নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য দপ্তরে যোগাযোগ করুন।

Facebook Twitter Google+ LinkedIn Pinterest
Next article পেনে মাছচাষ
Previous article থাই সরপুঁটির চাষ

Related Posts

ধানক্ষেতে মাছ চাষ পদ্ধতি

জমির ধরণ অনুযায়ী সাধারণত ২ পদ্ধতিতে...

পেনে মাছচাষ

পেনে মাছ চাষ কোন উন্মুক্ত জলাশয়ে এক বা...

Leave a Reply Cancel reply

মাছচাষ বিষয়ক পরামর্শ খোঁজ করুন

সাম্প্রতিক পরামর্শ

  • উদ্ভাবক পরিচিতি
  • বাগদা চিংড়ির রোগ ও রোগ ব্যবস্থাপনা
  • গলদা চিংড়ির রোগ ও রোগ ব্যবস্থাপনা
  • আরগুলোসিস (মাছের উকুন)
  • মাছের ফুলকা পঁচা রোগ
  • ড্রপসি (পেট ফোলা রোগ)
  • মাছের লেজ ও পাখনা পচা রোগ
  • ধানি পোনার চাষ
  • রেনু পোনার চাষ
  • যুব কর্মসংস্থানে মৎস্য ঋণ
  • চাষের পুকুরে মলা ও পুঁটি মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন
  • পাবদা ও গুলশা মাছের প্রণোদিত প্রজনন ও পোনা উৎপাদন কৌশল
  • দেশী সরপুঁটি মাছের প্রণোদিত প্রজনন ও পোনা উৎপাদন কৌশল
  • বাটা মাছের প্রণোদিত প্রজনন ও পোনা উৎপাদন কৌশল
  • শিং মাছের প্রজনন ও পোনা উৎপাদন কৌশল
  • মাগুর মাছের প্রজনন ও পোনা উৎপাদন কৌশল
  • কৈ মাছের প্রজনন ও পোনা উৎপাদন কৌশল
  • ক্ষত রোগ
  • পুকুরে মুক্তা চাষ
  • কুচিয়া চাষ
  • কাঁকড়া চাষ
  • ধানক্ষেতে মাছ চাষ পদ্ধতি
  • পেনে মাছচাষ
  • খাঁচায় মাছচাষ
  • থাই সরপুঁটির চাষ
  • আধুনিক পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ি চাষ
  • আধুনিক পদ্ধতিতে পাবদা মাছের চাষ
  • শোল মাছ চাষ
  • আধুনিক পদ্ধতিতে মলা মাছের চাষ
  • পুকুরে কৈ মাছের একক চাষ
  • কার্প জাতীয় মাছের মিশ্রচাষ
  • পুকুরে পাঙ্গাস মাছের চাষ
  • পুকুরে শিং ও মাগুর মাছ চাষের উন্নত কলাকৌশল
  • মনোসেক্স তেলাপিয়ার একক চাষ পদ্ধতি
  • Good Aquaculture Practice (GAP) [উত্তম মৎস্যচাষ অনুশীলন]
  • মাছ চাষে একোয়ামেডিসিন
  • মাছ চাষের জন্য বারো মাসে জরুরী করণীয়
  • পুকুরে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য পরীক্ষা
  • পুকুরে নিয়মিত সার প্রয়োগ
  • পুকুরে নিয়মিত খাদ্য প্রয়োগ
  • ভালো পোনামাছ চেনার উপায় ও পুকুরে পোনামাছ অবমুক্তকরণ
  • পোনা মাছ পরিবহন
  • মাছ চাষের জন্য পুকুর ব্যবস্থাপনা
  • পুকুরে চুন প্রয়োগ
  • রাক্ষুসে ও অবাঞ্চিত মাছ/প্রাণী দূরীকরণ
  • নতুন পুকুর খনন পদ্ধতি
  • Home
  • Back to top