রোগের নাম | রোগের কারণ | রোগের লক্ষণ | প্রতিকার |
এন্টেনা ও সন্তরণ পদ খসে পড়া | * ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন
* চাষ এলাকায় মাটি দূষণ |
* মজুদের ৩-৪ মাস পর এন্টেনা, সন্তরণপদ খন্ডিত অথবা ঝরে পড়তে থাকে | * সাময়িকভাবে সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ বন্ধ
* পানি পরিবর্তন করতে হবে * ২৫০-৩০০ গ্রাম/শতাংশে ডলোমাইট প্রয়োগ করতে হবে |
খোলস শক্ত হয়ে যাওয়া | * পিএইচ, লবনাক্ততা, পানির রাসায়নিক গুনাগুনের তারতম্য বা তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে খোলস পাল্টায় না, শক্ত হয়ে যায় | * খোলস স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে শক্ত
* বয়সের তুলনায় চিংড়ির কম দৈহিক বৃদ্ধি |
* পানির পরিবেশ উন্নয়ন
* সুষম পুষ্টিকর খাদ্য নিয়মিত পরিমাণমতো প্রয়োগ করা |
ক্যারাপেস ও শরীরের উপর শ্যাওলা ও ঝিনুক জাতীয় পরজীবের সংক্রমন | * পরিবেশগত যে কোন প্যারামিটারের তারতম্যের কারণে বিশেষ করে লবনাক্ততা বৃদ্ধির ফলে এটা বেশী হতে দেখা যায় | * করাত ও ক্যারাপেস অংশে ধূসর রংয়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথর দেখা যায় | * পানির সরবরাহ বৃদ্দি করা
* পানির গভীরতা ১ মিটারের বেশি রাখা |
নরম খোলস বা স্পঞ্জের মত দেহ | * পানিতে ক্যালসিয়াম কমে যাওয়া
* এ্যামোনিয়া ও তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া * পুষ্টিকর খাদ্যের অভাব * অনেকদিন পানি পরিবর্তন না করা |
* খোলস নরম হয়ে যায়, পা লম্বা ও লেজ ছোট হয়
* দেহ ফাঁপা হয়ে স্পঞ্জের মত হয় |
* পুকুরে ২-৩ মাস অন্তর শতাংশ প্রতি ৫০০ গ্রাম হারে চুন প্রয়োগ
* খাবারে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে (ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির জন্য শামুক/ঝিনুকের গুঁড়া প্রতি কেজি সম্পূরক খাদ্যের সঙ্গে ৫% হারে ব্যবহার করা যেতে পারে) |
খোলন পাল্টানোর পর মৃত্যু | * খাদ্যে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ফ্যাটি এসিড, প্রোটিন এবং খনিজ দ্রব্যের অভাব | * দেহ নরম থাকে এবং রং নীলাভ হয়ে যায়
|
* খাদ্যের সঙ্গে ৫০ মিলি গ্রাম/কেজি হারে ভিটামিন প্রি-মিক্স প্রয়োগ করতে হবে |
গায়ে শেওলা পড়া | * খোলস পরিবর্তন না করা ও চিংড়ির চলাফেরার গতি কমে যাওয়া | * সারা দেহে সবুজ অ্যালজি দেখা যায় | * পানি সরবরাহ বাড়াতে হবে এবং রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে |
Leave a Reply