আক্রান্ত মাছ: একুয়ারিয়াম ফিশ, কার্পজাতীয় মাছ, তেলাপিয়া ও ক্যাটফিশে এ রোগ বেশি হয়।
রোগের কারণ: পুকুরের তলায় অতিরিক্ত জৈব পদার্থ সৃষ্টির ফলে অ্যারোমোনাস জাতীয় এক প্রকার ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এ রোগে মাছ আক্রান্ত হয়। শীত কালেই সাধারনতঃ ড্রপসি বা পেট ফোলা রোগ দেখা দেয়।
রোগের লক্ষণ:
- মাছের দেহের রং ফ্যাকাশে হয়ে যায় এবং পানি ও সঞ্চালনের মাধ্যমে পেট ফুলে যায়।
- আক্রান্ত মাছের বক্ষগহ্বরে তরল পদার্থ জমে এবং তা বেশ ফুলে যায়
- দেহের ভারসাম্য হারায় এবং ধীরে ধীরে মারা যায়
প্রতিরোধ ও প্রতিকার:
পুকুরের ক্ষেত্রে-
- নিয়মিত প্রয়োজন ভেদে চুন ব্যাবহার করুণ।
- পরিষ্কার এবং বিশুদ্ধ পানির উৎস থেকে পুকুরে পানি দিন।
- খাবারে যাতে রোগ জীবাণু না থাকে, এবং খাবার শুষ্ক ও ঠাণ্ডা জায়গায় রাখুন।
- মাছকে সুষম খাদ্য সরবরাহ করবেন।
- আক্রান্ত মরা মাছ মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রাখুন অথবা জালিয়ে দিন।
একুয়ারিয়াম এর ক্ষেত্রে-
- পানি পরিষ্কার রাখুন, ফিল্টার ব্যাবহার করুণ।
- খাবারে যাতে রোগ জীবাণু না থাকে, এবং খাবার শুষ্ক ও ঠাণ্ডা জায়গায় রাখুন।
- প্রাকৃতিক খাবার হিসেবে প্লাংকটনের স্বাভাবিক উৎপাদন নিশ্চিত করুন।
পুকুরের ক্ষেত্রে-
- ২৫০ মি. গ্রা. টেটরাসাইক্লিন পাউডার প্রতি কেজি খাবার এর সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।
- ৫০০ গ্রাম হারে প্রতি শতকে চুন প্রয়োগ করতে হবে।
একুয়ারিয়াম এর ক্ষেত্রে-
- পানিতে ৫ পি পি এম টেটরাসাইক্লিন দিন।
*** বিস্তারিত জানার জন্য আপনার নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য দপ্তরে যোগাযোগ করুন।
Leave a Reply