জমির ধরণ অনুযায়ী সাধারণত ২ পদ্ধতিতে ধানক্ষেতে মাছ চাষ করা যায়। যেমন- যুগপৎ পদ্ধতি এবং পর্যায়ক্রম পদ্ধতি
ধানক্ষেতে যুগপৎ পদ্ধতিতে মাছ চাষ ব্যবস্থাপনা
যুগপৎ পদ্ধতিতে ধান ও মাছ একই জমিতে এক সঙ্গে চাষ করা হয়। এ পদ্ধতিতে ধান হচ্ছে মুখ্য ফসল এবং মাছ হচ্ছে অতিরিক্ত ফসল। মধ্যম ও নিচু জমিতে যেখানে ৪-৬ মাস পানি থাকে, সেখানে আমন ধানের সাথে মাছ চাষ করা যায়। আবার বোরো মৌসুমে যেসব জমি সেচ সুবিধার আওতাধীন সেসব জমিতেও এ পদ্ধতিতে ধানের সাথে মাছ চাষ করা যেতে পারে। এছাড়া উপকূলীয় ধানী জমিতে বর্ষাকালে ধানের সাথে ছোট মাছ ও চিংড়ি চাষ করা যেতে পারে। এ পদ্ধতিকে আবার দু’ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
জমি নির্বাচন
- জমিটি অপেক্ষাকৃত সমতল হওয়া উচিত যাতে জমিতে পানির গভীরতা সব জায়গায় সমান থাকে;
- জমিটি যেন বন্যায় প্লাবিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই জমি নির্বাচন করতে হবে। এজন্য মাঝারী উঁচু জমি মাছ চাষের উপযোগি;
- মাটির পানি ধারণক্ষমতা বেশি থাকতে হবে। এজন্য এঁটেল বা দো-আঁশ মাটি হলেই ভালো,
- জমিতে যেন ধান কাটা পর্যন্ত ৪-৬ মাস পানি থাকে;
- নির্বাচিত জমি গভীর নলকূপ বা স্থায়ী জলাধারের পাশে হওয়া উচিত, যাতে সহজেই জমিতে প্রয়োজন মত পানি দেওয়া যায়;
- জমিটি বাড়ীর যতটা সম্ভব কাছাকাছি হওয়া ভালো।
জমি প্রস্ত্ততকরণ: ধানী জমিকে মাছ চাষের জন্য মাছের বাস উপযোগি করে তৈরি করতে হবে। জমি যত ভালভাবে প্রস্ত্তত করা হবে তত বেশি ধান ও মাছের উৎপাদন পাওয়া যাবে। এজন্য জমি ভালভাবে চাষ দেওয়ার পর মই দিয়ে সমান করে নিতে হবে যেন সর্বত্রই পানির গভীরতা সমান থাকে।
আইল নির্মাণ: প্রয়োজনমত পানি ধরে রাখার জন্য জমির চারপাশে উঁচু ও শক্ত করে আইল বাঁধতে হবে। আইলের উচ্চতা ৫০ সেমি. এর ওপরে হলে ভালো এবং আইলের গোড়ার দিক অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত হওয়া উচিত যেন পানির চাপে আইল সহজে ভেঙ্গে না যায়। আইলের উপরিভাগে নাইলনের জাল দিতে হবে যেন পানির সঙ্গে মাছ বেরিয়ে যেতে না পারে।
গর্ত ও নালা খনন: ধানক্ষেতে মাছের আশ্রয়স্থল হিসেবে নালা এবং গর্ত বা মিনি পুকুর অবশ্যই থাকতে হবে। নালা আইলের ভিতর জমির চারপাশে অথবা আড়াআড়িভাবে বা কোনাকুনিভাবে তৈরি করা যেতে পারে। জমির অপেক্ষাকৃত নিচু অংশে ১-২% এলাকা জুড়ে ৭৫-৯৫ সেমি গভীর করে গর্ত করতে হবে। গর্তের সঙ্গে নালার সংযোগ রাখতে হবে যাতে মাছ নালার মাধ্যমে সহজেই গর্ত থেকে ধানক্ষেতে এবং ক্ষেত থেকে গর্তে আসতে পারে।
জমিতে নালা ও গর্ত করার উদ্দেশ্য
- খরা ও শুষ্ক মৌসুমে ক্ষেতের পানি কমে গেলে অথবা পানির তাপমাত্রা বেড়ে গেলে মাছ নালা/গর্তে/পুকুরে আশ্রয় নিতে পারে;
- ক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন হলে পানি কমিয়ে মাছকে নালা বা গর্তে রেখে কীটনাশক প্রয়োগ করলে মাছের কোন ক্ষতি হয় না;
- মাছ ধরার সময় পানি কমিয়ে নালা বা গর্তে সমস্ত মাছ একত্রিত করে সহজেই ধরা যায়;
- বড় গর্ত বা মিনি পুকুর থাকলে দু’ফসলা পদ্ধতিতে ধানক্ষেতে মাছ চাষ করা সুবিধাজনক। এছাড়া ধান কাটার পরে গর্তে/পুকুরে মাছ রেখে বড় করা যায়। এতে আর্থিকভাবে যথেষ্ট লাভবান হওয়া যায়।
সার প্রয়োগ: সাধারণত উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের জন্য প্রতি শতক জমিতে ৬০০-৭০০ গ্রাম ইউরিয়া, ৪০০-৫০০ গ্রাম টিএসপি এবং ২০০-২৫০ গ্রাম এমপি সার দেওয়া যেতে পারে। টিএসপি ও এমপি সার জমি তৈরির সময় একবারই প্রয়োগ করতে হয়। ইউরিয়া সার সমান তিন কিস্তিতে অর্থাৎ ধান রোপনের ৩০-৩৫ দিন, ৪৫-৫০ দিন এবং ৬০-৬৫ দিন পরে প্রয়োগ করতে হয়।
ধানের জাত নির্বাচন ও চারা রোপন পদ্ধতি
- যেসব ধান উচ্চ ফলনশীল এবং অধিক পানি সহ্য করতে পারে ও সহজে হেলে পড়েনা;
- যেসব ধানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং পোকার আক্রমণ কম হয়;
- সমুদ্র উপকুলীয় এলাকার জন্য নির্বাচিত ধানের লবণাক্ততা সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে;
- উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের মধ্যে বিআর-৩ (বিপ্লব), বিআর-১১ (মুক্তা) ও বিআর-১৪ (গাজী) অন্যতম।
ধানের সাথে মাছ চাষ করতে ধানের চারা সারিবদ্ধভাবে এবং সমান দূরত্বে লাগাতে হবে, যাতে মাছ ধানক্ষেতে সহজে চলাফেরা করতে পারে। চারা লাগানোর সময় গোছা থেকে গোছার দূরত্ব ১৫-২০ সেমি. এবং সারি থেকে সারির দূরত্ব ২০-২৫ সেমি. দিতে হবে। তবে জোড়া সারি পদ্ধতিতে ১৫ সেমি. ও ৩৫ সেমি দূরত্বে লাগালে ভাল হয়। এ পদ্ধতিতে দুই সারির মধ্যকার দূরত্ব ১৫ সেমি. করে এক জোড়া এবং এক জোড়া সারি থেকে অপর জোড়া সারির দূরত্ব ৩৫ সেমি. হতে হবে। এর ফলে মাছ সহজেই ধানক্ষেতে চলাচল করতে পারে ও প্রচুর সূর্যালোক পায়, মাছের খাদ্যের প্রাচুর্যতা বেড়ে যায় এবং ধান ও মাছের ফলন বেশি হয়।
মাছের প্রজাতি নির্বাচন ও পোনা মজুদ
মিরর কার্প, সরপুঁটি, মলা ও চিংড়ি নির্বাচন করা যেতে পারে।
নমুনা-১ | নমুনা-২ |
প্রজাতি | সংখ্যা | প্রজাতি | সংখ্যা |
মলা | ৫০-৬০ | মলা | ৬০-৬৪ |
মিররকার্প | ৬-৮ | চিংড়ি | ৩৬-৪০ |
সরপুঁটি | ১০-১২ | ||
মোট | ৬৬-৮০ | মোট | ৯৬-১০৪ |
যেহেতু এ পদ্ধতিতে মাছকে অল্প সময়ের জন্য রাখা হয় সেহেতু বড় আকারের পোনা ছাড়া উচিত। এজন্য পুঁটি ও মিরর কার্প পোনার আকার ৯ সেমি. এর ওপর হলে ভাল হয়। ধান লাগানোর ১৫-২০ দিন পর পোনা ছাড়া উচিত। ধান লাগানোর পর পর পোনা ছাড়লে মাছের চলাচলের কারণে ধানের চারা আলগা হয়ে উঠে যেতে পারে।
পানি সরবরাহ: মাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য ধানী জমিতে সব সময় কমপক্ষে ১৮ সেমি ওপরে পানি রাখা উচিত। তবে প্রথম দিকে পানির গভীরতা বেশি হওয়া উচিত নয়, কারণ এতে চারা গাছ গোছা নিতে পারে না। তাই প্রথম দেড় মাস পর্যন্ত ১২-২০ সেমি. পানি রাখতে হবে এবং এরপর ধীরে ধীরে পানির গভীরতা বাড়ানো যেতে পারে।
খাদ্য প্রয়োগ: ধানের সাথে মাছ চাষের জন্য বাইরে থেকে খাদ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে বেশি উৎপাদন পাওয়ার জন্য মাছের দেহের ওজনের ২-৩ শতাংশ হারে সরিষার খৈল ও চালের কুড়া ১:২ অনুপাতে প্রতিদিন গর্তে বা ধানক্ষেতে প্রয়োগ করতে হবে।
পোকা-মাকড় দমন: ধানক্ষেতে মাছ চাষ করলে সাধারণত পোকার আক্রমন তেমন হয় না। যদি কোন পোকার আক্রমন দেখা দেয় তাহলে ক্ষেতের পানি কমিয়ে মাছকে গর্ত বা নালার মধ্যে রেখে কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। কীটনাশক ব্যবহারের ৪-৫ দিন পর জমিতে পানি ভর্তি করলে মাছ গর্ত বা নালা থেকে ক্ষেতে বের হয়ে আসবে। এছাড়া ধানক্ষেতে গাছের ডাল অথবা বাঁশের কঞ্চি পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করলে পোকার আক্রমন বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
মাছ আহরণ: ধান কাটার পর পানি কমিয়ে ক্ষেত থেকে মাছ ধরতে হবে। ধানের সঙ্গে মাছ চাষ করলে প্রতি শতাংশে এক ফসলা পদ্ধতিতে ১.৩০-২.৬০ কেজি এবং দু’ফসলা পদ্ধতিতে ২.৪০-২.৮০ কেজি মাছের উৎপাদন পাওয়া যায়। আর মলা ও চিংড়ি চাষ করলে প্রতি শতাংশে এক ফসলা পদ্ধতিতে ০.০৬-০.০৭ কেজি মলা ও ০.৮৫-০.৯৫ কেজি চিংড়ি এবং দু’ফসলা পদ্ধতিতে ০.২৪-০.২৮ কেজি মলা ও ১.৩২-১.৪৭ কেজি চিংড়ি উৎপাদন করা যায়।
পর্যায়ক্রম পদ্ধতিতে ধানক্ষেতে মলার সাথে রূইজাতীয় মাছের মিশ্রচাষ ব্যবস্থাপনা
পর্যায়ক্রম পদ্ধতি: এ পদ্ধতিতে একই জমিতে ধান ও মাছ পর্যায়ক্রমে চাষ করা হয়। সাধারণত ধান কাটার পর মাছ চাষ করা হয় এবং মাছ আহরণের পর ধান চাষ করা হয়। যেসব নিচু জমি বর্ষাকালে প্লাবিত হয় এবং যেখানে কেবলমাত্র শীতকালে বোরো ধানের চাষ করা হয়, সেসব জমি এ পদ্ধতির জন্য উপযোগি। তাছাড়া সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় যেখানে বর্ষাকালে লোনাপানির চিংড়ি চাষ করা যায় না সেসব জমিতেও চিংড়ির পরে ধানের চাষ করা যেতে পারে। বর্ষার সময় ধানের সাথে স্বাদু পানির চিংড়ি ও মাছের চাষ করা যেতে পারে।
জমি নির্বাচন: এদেশে বহু নিচু জমি আছে যা বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানিতে প্লাবিত থাকায় ধানের চাষ করা যায় না, তাই কেবলমাত্র শুষ্ক মৌসমে বোরো ধানের চাষ করা হয়। এসব জমি এ পদ্ধতির জন্য খুবই উপযোগি। যে জমিটি নির্বাচন করা হবে তার চারপাশে উঁচু জায়গা বা উঁচু আইল থাকতে হবে যেন বন্যার পানিতে প্লাবিত না হয়।
জমি প্রস্ত্ততকরণ
নির্বাচিত জমির চারপাশে সাধারণত উঁচু পাড় বা আইল থাকে। যদি কোথাও পাড় ভাঙ্গা বা নিচু থাকে তাহলে উঁচু ও শক্ত করে আইল বাঁধতে হবে যেন অতি বৃষ্টি বা বন্যায় প্লাবিত না হয়। ক্ষেতের পানি বের হওয়ার পথে বাঁশের বানা দিতে হবে যাতে মজুদকৃত মাছ বের হয়ে যেতে না পারে। তাছাড়া অতিরিক্ত পানি বের হওয়ার জন্য প্লাস্টিকের পাইপের ব্যবস্থা করতে হবে এবং পাইপের মুখে নাইলনের জাল বেঁধে দিতে হবে।
আগাছা নিয়ন্ত্রণ ও গর্ত খনন: বর্ষাকালে জমি পতিত থাকার ফলে বিভিন্ন ধরণের আগাছা জন্মায়। এ সমস্ত আগাছাগুলোকে কায়িক শ্রমের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সাধারণত জমির নীচু অংশে আয়তন অনুসারে ২-৪ শতাংশ জায়গায় গর্ত করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে মাছ চলাচলের জন্য নালার প্রয়োজন হয় না। গর্তটি মাছের আশ্রয়স্থল হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মাছ ধরতেও সুবিধা হয়। তাছাড়া বড় মাছ বিক্রি করার পর ছোট মাছগুলোকে গর্তে রেখে বড় করা যায়।
জমি তৈরি: জমির সমস্ত আগাছা সরিয়ে ফেলে ভালভাবে চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। জমিতে শেষ চাষের সময় প্রতি শতাংশে ৪৫০-৫৫০ গ্রাম টিএপি এবং ২৫০-৩০০ গ্রাম এমপি সার প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া ৬০০-৭০০ গ্রাম ইউরিয়া ধান লাগানোর পর সমান তিন কিস্তিতে অর্থাৎ ধান রোপনের ৩০-৩৫ দিন, ৪৫-৫০ দিন এবং ৬০-৬৫ দিন পরে প্রয়োগ করতে হবে।
ধানের জাত নির্বাচন ও রোপন: বোরো মৌসুমের জন্য সাধারণত উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানই উপযুক্ত। এজন্য বিআর-৩ (বিপ্লব), বিআর-১১ (মুক্তা) ও বিআর-১৪ (গাজী) প্রভৃতি জাতের ধান নির্বাচন করা যায়। ধানের চারা সারিবদ্ধভাবে এবং সমান দূরত্বে লাগাতে হবে। এজন্য গোছা থেকে গোছার দূরত্ব ১৫-২০ সেমি. এবং সারি থেকে সারির দূরত্ব ২০-২৫ সেমি. রাখতে হবে।
প্রজাতি নির্বাচন ও মজুদ ঘনত্ব: এ পদ্ধতিতে ধান ও মাছ আলাদভাবে চাষ করা হয় বলে মাছ চাষের জন্য পানির গভীরতা বেশি রাখা হয়। এছাড়া মাছকে প্রায় ৬-৭ মাস পর্যন্ত অর্থাৎ ধান লাগানোর পূর্ব পর্যন্ত ক্ষেতে রাখা যায়। তাই মলার সঙ্গে রূই, কাতলা, মৃগেল, মিরর কার্প ও সরপুঁটি মাছের পোনা একত্রে এবং অপেক্ষাকৃত বেশি মজুদ ঘনত্বে চাষ করা যেতে পারে। এজন্য প্রতি শতকে ৬০-৬৫টি মলা, ৪-৫টি রূই, ৩-৪টি কাতলা, ২-৩টি মৃগেল, ৫-৬টি মিরর কার্প ও ১০-১২টি সরপুঁটি মজুদ করা যায়।
মাছের পরিচর্যা: মাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য পানিতে যেন প্রাকৃতিক খাদ্য বজায় থাকে তার জন্য প্রতি শতকে ১৫ দিন পরপর ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ৬০ গ্রাম টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে। অধিক উৎপাদন পাওয়ার জন্য সম্পূরক খাদ্য হিসাবে চালের কুড়া/গমের ভুসি এবং সরিষার খৈল ২:১ অনুপাতে মাছের মোট ওজনের শতকরা ৩-৫ ভাগ হারে প্রয়োগ করতে হবে।
মাছ আহরণ: ধান লাগানোর জন্য জমির পানি অল্প অল্প করে কমিয়ে মাছ ধরে ফেলতে হবে। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে ৬-৭ মাসের মধ্যে প্রতি শতকে ৬.২-৬.৭ কেজি মাছের উৎপাদন পাওয়া যায়।
ধানক্ষেতে ছোট মাছ চাষের সমস্যা
- বর্ষাকালে অতি বৃষ্টিতে ধানক্ষেতের পানি আইল উপচিয়ে বা বন্যায় প্লাবিত হয়ে মাছ বের হয়ে যেতে পারে;
- খরা বা অনাবৃষ্টিতে ক্ষেতের পানি শুকিয়ে মজুদকৃত পোনা মারা যেতে পারে;
- কাঁকড়া ও ইদুর ক্ষেতের আইলে গর্ত করার ফলে পানি বের হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া পানি কমে গেলে সাপ, ব্যাঙ, বক, শিয়াল ইত্যাদি সহজে মজুদকৃত পোনা খেয়ে ফেলতে পারে;
- ধানক্ষেতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হলে কীটনাশক ব্যবহার করা মাছের জন্য ঝুকিপূর্ণ হয়ে থাকে;
- সহজে মাছ চুরি হয়ে যেতে পারে;
- ধানক্ষেতে মাছ চাষে জমির মালিক ও বর্গাচাষীর মধ্যে সমঝোতার অভাব পরিলক্ষিত হয়।
*** বিস্তারিত জানার জন্য আপনার নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য দপ্তরে যোগাযোগ করুন।
Leave a Reply