পুকুর কাটার পূর্বে কি কি বিষয় বিবেচনায় রাখা উচিত?
- পুকুরটির ঢাল হবে ১:২ বা ১:১.৫, তলদেশ সমান, পানির গভীরতা বর্ষাকালে ২ মিটার এবং শুকনো মৌসুমে ১ মিটারের মধ্যে।
- বৃষ্টি ধোয়া দূষিত পানি পুকুরে যেন প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য পুকুরটির পাড় মূল ভূমি থেকে কমপক্ষে ৩০ সে.মি. উঁচু থাকা ভাল।
- দো-আঁশ মাটির পুকুর সবচেয়ে ভাল। এঁটেল মাটির পুকুরের পানি ঘোলা থাকে, ফলে সূর্যালোক কম প্রবেশ করবে। বেলে মাটির পুকুরে পুষ্টির অপচয় বেশি।
- এলাকাটির বন্যা পরিস্থিতি কেমন?
- পুকুর খননের এলাকাটি কি খুব নিচু/উঁচু/ঢালু অঞ্চল।
পুকুরের আকার ও আয়তন নির্ধারণ
আয়তাকার পুকুর মাছ চাষের জন্য উত্তম। অধিকাংশ সময় বাতাস যে দিকে প্রবাহিত হয়, পুকুরের দৈর্ঘ্য সেদিকে রাখতে হয়। পুকুরের আয়তন ৪০-৫০ শতাংশ এবং প্রস্থ ২০-২৫ মিটারের বেশি হওয়া উচিত নয়।
পুকুরের গভীরতা নির্ধারণ
কার্প জাতীয় মাছের জন্য পানির গড় গভীরতা ১.৫ মিটার হতে হবে। পানির সর্বোচ্চ গভীরতা বর্ষাকালে ২ মিটার এবং শুকনো মৌসুমে সর্বনিম্ন গভীরতা ১ মিটার হওয়া উচিত। সর্বোচ্চ জলসীমার উপরে পাড়ের উচ্চতা আরো ৬০ সে.মি. এর বেশি থাকতে হবে।
পুকুরের অংশ নির্ধারণ
একটি আদর্শ পুকুরের ৪টি অংশ থাকে। যথা- পাড়, বকচর, দেয়াল বা ঢাল ও পুকুরের তলা।
পুকুর ও পাড়ের ঢাল
- বেলে দো-আঁশ মাটিতে পুকুরের ভিতরের ঢাল হবে ৩:১, দো-আঁশ মাটিতে ২:১ এবং এঁটেল মাটিতে ১:১।
- পুকুরের বাহিরের ঢাল হবে ২:১ অথবা ১.৫:১ এবং পাড়ের চূড়ার প্রস্থ হবে ১.৫-২.০ মিটার।
পুকুরের বকচর
পুকুরে ১ মিটার প্রশস্থ বকচর থাকা উচিত। পাড়ের স্থায়িত্ব এবং মাছের বিচরণক্ষেত্র বাড়াতে বকচর বেশ কার্যকর।
পুকুরের তলা
পুকুরের তলা হবে সমান এবং সম্ভবপর হলে একদিকে ঢালু। এতে পানি সেচ এবং মাছ আহরণের সুবিধা হবে। পুকুরের তলার ঢালের পরিমাণ হবে প্রতি ৩ মিটার লম্বার জন্যে ১ সে.মি.।
*** বিস্তারিত জানার জন্য আপনার নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য দপ্তরে যোগাযোগ করুন।
Leave a Reply