প্রাকৃতিক খাদ্য ২ প্রকার: উদ্ভিদকণা (ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন) এবং প্রাণীকণা (জুপ্ল্যাঙ্কটন)
পুকুরে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য পরীক্ষার পদ্ধতি:
১. পানির বর্ণ
২. হাত পরীক্ষা
৩. গামছা গ্লাস পদ্ধতি
৪. সেক্কি ডিস্ক পদ্ধতি
পানির বর্ণ
পুকুরের পানির রং যদি হালকা সবুজ বা বাদামী সবুজ হয় তাহলে বুঝতে হবে পানিতে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য আছে।
হাত পরীক্ষা
- নিজের হাত কুনুই পর্যন্ত পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে হাতের তালু দেখতে হবে
- পানির রং বাদামী সবুজ কিংবা লালচে সবুজ কিংবা হালকা সবুজ থাকলে এবং একই সাথে হাতের তালু দেখা না গেলে বুঝতে হবে যে পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্যের পরিমাণ ঠিক আছে
গামছা গ্লাস পদ্ধতি
- গামছার সাহায্যে পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে পরিষ্কার কাঁচের গ্লাসে নিয়ে তা সূর্য্যের দিকে ধরতে হবে।
- সূর্য্যের আলোতে যদি গ্লাসের মধ্যে উদ্ভিদকণা (গ্লাস প্রতি ৫-১০টি) দেখা যায়, তবে বুঝতে হবে পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য আছে।
সেক্কি ডিস্ক পদ্ধতি
- সেক্কি ডিস্ক হ’ল সাদা কালো রঙের গোলাকার চাকতি বিশেষ যা ৩ ধরণের রং এর সূতা দিয়ে ঝুলানো থাকে। চাকতিটি টিনের বা লোহার পাত দিয়ে তৈরি।
- চাকতির গোড়া থেকে প্রথম সুতার রং লাল (২০ সে.মি.), দ্বিতীয় সুতার রং সবুজ (১০ সে.মি.) এবং হাতে ধরার সর্বশেষ সুতার রং সাদা (১০০-১২০ সে.মি.)
সেক্কি ডিস্ক ব্যবহার কৌশল
বেলা ১১ টা থেকে ১ ঘটিকার সময় সূর্যালোকিত দিনে সূতা ধরে চাকতিটিকে ২৫-৩৫ সে.মি. গভীরতায় ডুবানোর পর যদি চাকতিটি দেখা না যায় তবে বুঝতে হবে পুকুরে প্রাকৃতিক খাবার আছে।
সেক্কি ডিস্ক ব্যবহার কৌশল
- ৩৫ সে.মি. এর বেশী গভীরতায় চাকতিটি দেখা গেলে বুঝতে হবে পুকুরে প্রাকৃতিক খাবারের অভাব রয়েছে। সার প্রয়োগ জরুরি।
- কিন্তু চাকতিটি যদি ২০ সে.মি. এর কম গভীরতায় দেখা না যায় তার মানে পুকুর অত্যন্ত ঘোলা। এমতাবস্থায় খাবার ও সার প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে এবং পুকুরে চুন প্রয়োগ করতে হবে।
*** বিস্তারিত জানার জন্য আপনার নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য দপ্তরে যোগাযোগ করুন।
Leave a Reply