ভাল পোনার লক্ষণ বা গুনাবলী
- ভাল পোনার গায়ে কোন দাগ থাকবে না।
- ভাল পোনার দৈহিক আকৃতি স্বাভাবিক অর্থাৎ মাথা, শরীর ও লেজের আনুপাতিক দৈর্ঘ্য স্বাভাবিক দেখাবে।
- ভাল পোনার চোখ উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ দেখাবে।
- ভাল পোনার গায়ে লালা থাকবে ও গা পিচ্ছিল হবে।
- ফুলকা উজ্জ্বল, লাল টকটকে দেখাবে।
- শব্দ অনুভূতি থাকবে অর্থাৎ পাতিলের গায়ে টোকা দিয়ে শব্দ করলে পোনামাছ অন্য পাশে অবস্থান নেবে।
- সতেজ ও গায়ে জোর থাকবে। লেজ ধরলে লাফিয়ে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
- স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটার চেষ্টা করবে।
ভালো ও খারাপ পোনা পর্যবেক্ষণ
পর্যবেক্ষণের বিষয় | ভাল পোনা | খারাপ পোনা |
দেহের আকার | মোটা-তাজা | মাথা মোটা, দেহ চিকন |
দেহের রং | ঝকঝকে উজ্জ্বল, কালচে বাদামী | ফ্যাকাশে/সাদাটে |
চলাফেরা | চটপটে | ধীরস্থির |
পাত্রে আঙ্গুল দিলে | দ্রুত সরে যায় | আস্তে আস্তে সরে যায় |
ত্বক | পিচ্ছিল | খসখসে |
পোনা শোধনঃ প্রতিষেধক ও চিকিৎসা
- পোনা পরিবহন করে খামারে নেওয়ার পর পুকুরে ছাড়ার পূর্বে পোনা শোধন করে নিতে হবে এবং এতে পোনা সুস্থ থাকবে এবং রোগ বালাই এর সম্ভাবনা কমে যাবে।
- একটি বালতিতে ১০ লিটার পানি নিয়ে এর মধ্যে ২০০ গ্রাম খাবার লবণ অথবা ১ চা চামচ ডাক্তারি পটাশ (KMnO4) মিশাতে হবে।
- অতঃপর বালতির উপর একটি ঘন জাল রেখে তার মধ্যে প্রতিবার ২০০-৩০০টি পোনা ছাড়তে হবে।
- তারপর জাল ধরে পোনা গুলোকে বালতির পানিতে ৩০ সেকেণ্ড গোসল করাতে হবে।
- এভাবে একবার তৈরি করা লবণ/পটাশের পানিতে ৫-৭ বার শোধন করা যাবে।
পুকুরে পোনা অবমুক্তকরণ
- পুকুরে পোনা অবমুক্তকরণের পূর্বে পানির বিষাক্ততা পরীক্ষা করে নিতে হবে।
- পোনা পরিবহনকারী পাত্রটি বা ব্যাগটি পুকুরের পানিতে ২০-২৫ মিনিট ভাসিয়ে রেখে তাপমাত্রার সমতা আনতে হয়।
- তারপর ব্যাগের মুখ খুলে নিজের হাত অথবা থার্মোমিটার দিয়ে পাত্র এবং পুকুরের পানির তাপমাত্রার ব্যবধান দেখতে হবে।
- মৃদু ঠান্ডা আবহাওয়ায় পোনা ছাড়া ভাল।
- রেণু ছাড়ার জায়গায় পানি আন্দোলিত করে তাপমাত্রার সমতা আনতে হবে।
- পাড়ের কাছাকাছি রেণু ছাড়তে হবে, মাঝ পুকুরে নয়।
*** বিস্তারিত জানার জন্য আপনার নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য দপ্তরে যোগাযোগ করুন।
Leave a Reply