আক্রান্ত মাছ: সাধারণত রুইজাতীয় মাছ, শিং-মাগুর ও পাঙ্গাস মাছ আক্রান্ত হয়ে থাকে।
রোগের কারণ:
- অ্যারোমোনাস ও মিক্সো ব্যাকটেরিয়া দিয়ে এ রোগ হয়।
- পানির ক্ষার স্বল্পতা ও পি-এইচ ঘাটতি দেখা দিলেও এ রোগের উৎপত্তি হতে পারে।
রোগের লক্ষণ:
- দেহের পিচ্ছিল পদার্থ কমে যায়।
- লেজ ও পাখনায় সাদাটে দাগ দেখা যায়।
- এ রোগে আক্রান্ত হলে প্রাথমিকভাবে পিঠের পাখনা এবং ক্রমান্বয়ে অন্যান্য পাখনাও আক্রান্ত হয়।
- লেজ ও পাখনা খসে পড়ে।
- রক্তশূন্যতা দেখা দেয় ও রঙ ফ্যাকাশে হয়।
- দেহের ভারসাম্য হারায় ও খাদ্য গ্রহণে অনীহা দেখা দেয়।
- মাছ ঝাঁকুনি দিয়ে চলাফেরা করে।
- আক্রান্ত স্থানে তুলার মতো ছত্রাক জন্মায়।
প্রতিরোধ ও প্রতিকার:
- নিয়মিত হররা বা জাল টেনে পুকুরের তলার বিষাক্ত গ্যাস কমাতে হবে।
- মজুদকৃত মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে।
- পুকুরে প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করা।
- এরোগ আক্রান্ত মাছ পুকুর থেকে তুলে ০.৫ পিপিএম পটাশযুক্ত পানিতে আক্রান্ত মাছকে ৩ থেকে ৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। পুকুরে শতাংশ প্রতি ২৪-৩৬ গ্রাম পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট প্রয়োগ করতে হবে।
- প্রতি কেজি খাদ্যের সাথে ২৫ মিলিগ্রাম টেট্রাসাইক্লিন মিশিয়ে পর পর ৭ দিন দিতে হবে।
- এছাড়া রোগ-জীবাণু ধ্বংসের পর মজুদকৃত মাছের সংখ্যা কমিয়ে ফেলতে হবে।
- সারের ব্যবহার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে।
*** বিস্তারিত জানার জন্য আপনার নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য দপ্তরে যোগাযোগ করুন।
Leave a Reply