বৈশাখ (এপ্রিল-মে)
- আতুর ও চারা পুকুরে রেণু মজুদ।
- মজুদ পুকুর প্রস্তুতি।
জৈষ্ঠ্য (মে-জুন)
- আতুর ও চারা পুকুরে নিয়মিত সম্পূরক খাদ্য ও সার প্রয়োগ।
- মজুদ পুকুরে পোনামাছ ছাড়া।
আষাঢ় (জুন-জুলাই)
- আতুর ও চারা পুকুর থেকে পোনামাছ বিক্রয় করা।
- সব ধরনের পুকুরে নিয়মিত সার এবং সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ।
- আকাশ মেঘলা থাকলে সার প্রয়োগ বন্ধ রাখা।
- মাঝে মাঝে জাল টেনে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।
শ্রাবণ (জুলাই-আগস্ট)
- বর্ষার ভরা মৌসুম তাই অবিরাম বৃষ্টিপাত বা আকস্মিক বন্যার পানিতে পাড় ডুবে মাছ ভেসে যেতে পারে। এ ব্যাপারে পূর্ব থেকেই পদক্ষেপ নেয়া ও সাবধান থাকা।
- আতুর ও চারা পুকুর খালি হয়ে থাকলে পুনরায় প্রস্তুত করে রেণু ছাড়ার ব্যবস্থা করা।
- পুকুরে অতিরিক্ত জলজ আগাছা জন্মালে তা পরিষ্কার করা।
ভাদ্র (আগস্ট-সেপ্টেম্বর)
- মজুদ পুকুরে পোনা না ছাড়লে অথবা বন্যায় পোনা ভেসে গেলে পুনরায় পোনা ছাড়া।
- চারা পুকুরে কিছু পোনা রেখে দিয়ে মজুদ পুকুর হিসেবেও চারা পুকুরকে ব্যবহার করা যায়।
- পুকুরে নিয়মিত সম্পূরক খাদ্য ও সার প্রয়োগ করা।
আশ্বিন (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর)
- বর্ষাকালে জন্মানো অতিরিক্ত আগাছা পরিষ্কার করা।
- নিয়মিত সার ও সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ।
- প্রাকৃতিক উৎস থেকে শিং, মাগুর, কৈ ইত্যাদি মাছের পোনা সংগ্রহ করে নার্সারি পুকুরে মজুদ করা।
কার্তিক (অক্টোবর-নভেম্বর)
- পুকুরে জাল টেনে মাছের স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধি পরীক্ষাকরণ।
- ক্ষতরোগ প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে শীত শুরু হওয়ার পূর্বে পুকুরে প্রতি শতাংশে ৬০০-৮০০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করা।
- বিল, হাওড় ও উপকূলীয় এলাকায় এ সময় প্রচুর মাছ ধরা পড়ে এবং মাছের দাম কমে যায়। এ সময় শুটকীকরণ প্রকল্প হাতে নেয়া যায়।
অগ্রহায়ণ (নভেম্বর-ডিসেম্বর)
- শীতকালে তাপমাত্রা কমার কারণে মাছ কম খাদ্য গ্রহন করে বলে সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ কমিয়ে দিতে হবে।
- কার্পিও মাছের প্রজনন ও পোনা উৎপাদন করা।
পৌষ (ডিসেম্বর-জানুয়ারি)
- শীতকালে বড় মাছ এক স্থান হতে অন্যস্থানে পরিবহন করা নিরাপদ। এই সময়ে হ্যাচারির জন্য ব্রুড মাছ সংগ্রহ করা যায়।
- মাছের ক্ষতরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই নিয়মিত জালটেনে মাছ পরীক্ষা করা।
মাঘ (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি)
- ব্রুড মাছের সঠিক পরিচর্যা করা।
- কার্পিও মাছের পোনার যত্ন নেয়া।
- আতুর ও চারা পুকুর প্রস্তুতির ব্যবস্থা নেয়া।
- মজা পুকুর সংস্কার করা।
ফাল্গুন (ফেব্রুয়ারি-মার্চ)
- পুকুরের পানির গভীরতা কমতে থাকে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে মাছ ধরে ঘনত্ব কমিয়ে দিতে হবে।
- সম্ভব হলে বাইরে থেকে পানি সরবরাহ করে পুকুরের গভীরতা বাড়াতে হবে।
চৈত্র (মার্চ-এপ্রিল)
- পুকুরে কিছু কচুরিপানা বা পুকুরের একপাশে খড়ের চালা বা ককসীট দিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব বা মাছ মরে যাওয়ার হাত হতে মাছকে রক্ষা করা।
- পুকুর তৈরির কাজ দ্রুত সমাপ্ত করা।
মাছচাষে প্রতিদিন করণীয়
ভোর বেলায় | সকাল বেলায় | বিকাল বেলায় | রাত্রি বেলায় |
মাছ খাবি খাচ্ছে কিনা? | সম্পূরক খাবার প্রয়োগ করা | দ্বিতীয় বার সম্পূরক খাবার প্রয়োগ | পাহারার ব্যবস্থা করা |
পুকুরে পানি ঢুকছে কিংবা বের হচ্ছে কিনা? | সেক্কি ডিস্ক, হাত বা স্বচ্ছ গ্লাস দিয়ে পানিতে প্রাকৃতিক খাদ্য আছে কিনা পরীক্ষা করা | হিসাবপত্র ঠিক রাখা | |
খাবার আছে কিনা? | প্রয়োজনে সার প্রয়োগ করা |
*** বিস্তারিত জানার জন্য আপনার নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য দপ্তরে যোগাযোগ করুন।
Leave a Reply